দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচনের জন্য ১২তম সাধারণ নির্বাচন, যা ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।[১] ২০২৩ সালের শেষ কিংবা ২০২৪ সালের শুরুতে বাংলাদেশের পরবর্তী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে।[২] ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে। নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান লাভ করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং এককভাবে নির্বাচনে তৃতীয় স্থান লাভ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।[৩] তবে এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে এবং নির্বাচনের ফলাফল ছিল সম্পূর্ণ এক পাক্ষিক।[৪] তখন থেকে বিএনপিসহ বিরোধীরা ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুননির্বাচনের দাবি তোলে।[৪] বিএনপির ঘোষণা অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনে তারা আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণ করবে না।[৫]
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করছে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ রোববার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নাম ঘোষণা শুরু করেছেন।
এর আগে কয়েক দফায় দলের পার্লামেন্টারি বোর্ডের সভায় প্রার্থী ঠিক করে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব সভায় সভাপতিত্ব করেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম কেনেন ৩ হাজার ৩৬২ জন। এর আগে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে ৪ হাজার ২৩ জন দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন। সে হিসাবে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম আগেরবারের চেয়ে ৬৬১টি কম বিক্রি হয়েছে।
আজ দিনের প্রথম ভাগে দলের সব মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে গণভবনে কথা বলেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা।
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। তফসিল অনুযায়ী ৩০ নভেম্বর মধ্যে কমিশনে দল মনোনীত প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম জমা দিতে হবে।
প্রতীক বরাদ্দের পর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন।
ভোটের এক সপ্তাহ আগে, অর্থাৎ আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব ব্যালট পেপার মুদ্রণ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন।
তবে উচ্চ আদালতে আপিল করে যারা প্রার্থিতা ফিরে পাচ্ছেন, তাদের নাম এই তালিকায় আসেনি।
এবার ৩০০ আসনে ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। নতুন করে কিছু প্রার্থী আদালতের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পাচ্ছেন, তাদের নামও এ তালিকায় যুক্ত হবে।
0 Comments